কিভাবে মুখ থেকে পিগমেন্টেশন স্থায়ীভাবে দূর করবেন | পিগমেন্টেশন দূর করার উপায়

কিভাবে মুখ থেকে পিগমেন্টেশন স্থায়ীভাবে দূর করবেন

পিগমেন্টেশন: উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত ও দাগমুক্ত ত্বক সবাই চায়। কিন্ত বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনে অযত্ন ও মাত্রাতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত দ্রব্য ব্যবহারের ফলে ত্বক ধীরেধীরে নিষ্প্রান ও দাগ যুক্ত হয়ে ওঠে, যা পিগমেন্টেশন নামেও পরিচিত, যদি এটি কোনও মেয়ের বা ছেলের মুখে দেখা দিতে শুরু করে, তবে তার সৌন্দর্য হ্রাসপেতে শুরু করে।  

যখন আমাদের ত্বকে কালো দাগ দেখা দেয়, তখন তাকে পিগমেন্টেশন বলে। এই প্যাচগুলি বড় বা ছোট হতে পারে। ত্বকের পিগমেন্টেশন সাধারণত ক্ষতিকারক নয়, তবে খারাপ দেখায়। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা কিছু ঘরে তৈরি ফেস প্যাকের সাহায্যে আপনার মুখ, ঘাড় এবং হাতে উপস্থিত ত্বকের পিগমেন্টেশন বা কালো দাগ থেকে মুক্তিপাওয়ার উপায় সম্পর্কে বলবো। ঘরোয়া প্রতিকার আমাদের পিগমেন্টযুক্ত ত্বককে হালকা বা সুন্দর করতে পারে। এবং নিয়মিত ভাবে এই ফেসপ্যাক গুলি ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। এছাড়াও এই ফেসপ্যাক গুলিতে ব্যবহৃত সমস্ত উপাদান প্রাকৃতিক হওয়ার ফলে তা আমাদের ত্বকে কোনো সাইড এফেক্ট ফেলবে না।

আরও পড়ুনঃ জোয়ান ভেজানো জলের 8 টি উপকারিতা

পিগমেন্টেশন দূর করার উপায়

তাহলে চলুন ত্বকের বিভিন্ন ধরন অনুযায়ী (তৈলাক্ত ত্বক,শুষ্ক ত্বক, সেনসিটিভ ত্বক) বিভিন্ন উপাদান দ্বারা তৈরি 10টি প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

1. পিগমেন্টেশনের জন্য লেবু মধু ফেস প্যাক

লেবুর রস একটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট, যা মৃত কোশ দূর করে ত্বককে পরিষ্কার করে তোলে এবং মধু একটি দুর্দান্ত ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে,যা ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। এই উপাদান গুলি ত্বকের পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকের বলিরেখা, রূক্ষতা ও সানট্যান দূর করতেও বিশেষ ভাবে উপকারী। 

ব্যবহারবিধি:

এক ভাগ মধুতে দুই ভাগ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এইভাবে তৈরি করা ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকের আক্রান্ত স্থানে লাগান বা পুরো মুখে লাগান। এটি মুখে প্রায় 20 মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তারপরে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পিগমেন্টেশন থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে 3 থেকে 4 বার এই ফেসপ্যাক লাগাতে পারেন।

সতর্কতা:

এই ফেসপ্যাকটিতে লেবুর রস থাকায় এটি সূর্যের আলোর প্রভাবে ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। তাই এটি রাতে ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া এটি তৈলাক্ত ও শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী হলেও সেনসিটিভ ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়।

আরও পড়ুনঃ মেয়েরা গুগলে কি সার্চ করে বেশি

2. পিগমেন্টেশনের জন্য পেঁপে ফেস প্যাক:

পেঁপেতে প্যাপেইন নামক একটি এনজাইম রয়েছে, যার আশ্চর্যজনক এক্সফোলিয়েটিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি নতুন কোষের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার সময় মৃত ত্বকের কোষগুলিকে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে, যার ফলে ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর হয়। পিগমেন্টেশনের চিকিৎসার জন্য আপনি পাকা পেঁপে থেকে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন।

ব্যাবহারবিধি: 

 a) পিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করতে এবং মুখের দাগ কমাতে, একটি পাত্রে 2 চা চামচ পাকা পেঁপের পাল্প, 1 চা চামচ মধু এবং 1 চা চামচ দুধ নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। ত্বকে পিগমেন্টেশনের জন্য তৈরি পেঁপের ফেসপ্যাক লাগান এবং 30 মিনিট রেখে দিন। 30 মিনিট পর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন বা সপ্তাহে তিনবার ত্বকে পেঁপের ফেসপ্যাক লাগিয়ে পিগমেন্টেশন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

b) পেঁপের নির্যাস -এর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে আইস কিউব বানিয়ে ত্বকে লাগালে রোদের পোড়া ভাব দূর হয় এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুনঃ পুদিনা পাতার চা এর উপকারিতা

3. পিগমেন্টেশনের জন্য অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক:-

প্রাকৃতিক pH এবং তেলের ভারসাম্য নষ্ট না করে ত্বক পরিষ্কার করার জন্য অ্যালোভেরা হল একটি প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকার। এটি দাগ কমাতে সাহায্য করে এবং UV বিকিরণের কারণে ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। পিগমেন্টেশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন।

ব্যবহারবিধি:

a) এক চামচ মধুর সঙ্গে 2 চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। 10 মিনিট পর, আপনার ত্বকে অ্যালোভেরা এবং মধুর মিশ্রণটি লাগান। এই পেস্টটি 20 মিনিটের জন্য শুকাতে দিন এবং তারপরে হালকা গরম জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের এই পিগমেন্টেশন সমস্যা থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুক্তি পেতে সপ্তাহে দুবার এই ফেসপ্যাকটি মুখে লাগাতে পারেন।

b) 2 চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে 1 চামচ ব্রাউন সুগার মিশিয়ে স্ক্রাব করলে ত্বকের মৃত কোশ সরে গিয়ে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। 

সতর্কতা:

বাজারজাত অ্যালোভেরা জেলে বিভিন্ন কৃত্রিম রং ও সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়, যা ত্বকের ক্ষতি করে। তাই সঠিক নির্বাচন করে কেনা উচিত।

আরও পড়ুনঃ জোয়ান ভেজানো জল খাওয়ার উপকারিতা

4. পিগমেন্টেশনের জন্য কলার ফেসপ্যাক :– 

ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর করার জন্য কলা একটি অনন্য ঘরোয়া প্রতিকার। কলা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-পিগমেন্টেশন হিসেবে কাজ করে, যা ত্বক পরিষ্কার করে। এটি ভিটামিন কে বা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, যা আপনার ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং সুস্থ রাখে। কলা ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে কোমল করে তোলে। 

ব্যবহারবিধি:

a) 1 টি কলা ম্যাশ করুন, ¼ চা চামচ মধু, 1 চা চামচ দুধ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এইভাবে প্রস্তুতকৃত মিশ্রণটি আপনার ত্বকের আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি প্রায় 30 মিনিটের জন্য ছেড়ে দিন তারপরে হালকা গরম জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। পিগমেন্টেশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে দুবার এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।

b) একটি কলার সঙ্গে 2 চামচ কফি পাউডার ও 1 চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর মিশ্রণটিকে মুখে লাগিয়ে 10 মিনিট ম্যাসাজ করুন। এবং গোলাপ জল দিয়ে তুলে ফেলুন। এটি ব্রনের দাগ দূর করতে সহায়তা করে।

আরও পড়ুনঃ মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

5. পিগমেন্টেশনের জন্য তুলসী ফেস প্যাক

a) তুলসী পাতা পিষে তৈরি পেস্টে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। আপনি সপ্তাহে 3 থেকে 4 দিন এই ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে দেখুন। এতে আপনার মুখের পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর হবে এবং এর সাথে সাথে ডার্ক সার্কেলও দূর হবে।

b) 2 চামচ তুলসী পাতার পেস্টের সঙ্গে 1/2 চামচ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে 10 মিনিট স্ক্রাব করুন। চালের গুঁড়ো প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে জনপ্রিয়। ত্বকের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি করতে এটি সপ্তাহে 3 বার ব্যবহার করুন।

আরও পড়ুনঃ কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

6. পিগমেন্টেশনের জন্য মুলতানি মাটির ফেস প্যাক

পিগমেন্টেশনের জন্য মুলতানি মাটি একটি ভালো ঘরোয়া ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি মূলত ত্বক থেকে তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ব্রণের দাগও কমায়। মুলতানি মাটিতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট যা সব ধরনের চর্মরোগের চিকিৎসা করে। পিগমেন্টেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এটি মধুর সাথে ব্যবহার করুন।

ব্যবহারবিধি:

একটি ছোট পাত্রে 2-4 চামচ চন্দন গুঁড়া, 2 চামচ মধু এবং 2 চামচ গোলাপ জল নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। আপনার মুখে এইভাবে তৈরি মুলতানি মাটির পেস্ট লাগান এবং শুকাতে দিন। প্রায় 25 মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত প্রকৃতির হয় তাহলে এটি সপ্তাহে দুবার এবং শুষ্ক প্রকৃতির হলে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। 

আরও পড়ুনঃ ফ্রিজ পরিষ্কার ও দুর্গন্ধ মুক্ত করার কয়েকটি উপায়

7. পিগমেন্টেশনের জন্য চন্দন ফেসপ্যাক

 চন্দন একটি প্রাকৃতিক রক্ত পরিশোধক, যা পিগমেন্টেশন দূর করতে সাহায্য করে। এটি সানস্ক্রিনে একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত উপাদান, কারণ এটি ত্বককে UV রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পিগমেন্টেশনের জন্য চন্দন ব্যবহার করতে, আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন।

ব্যবহারবিধি:

a) একটি পাত্রে 2 চা চামচ চন্দন গুঁড়ো নিয়ে, 2 চা চামচ গোলাপ জল যোগ করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট তৈরি করতে আপনি কমবেশি গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। এইভাবে তৈরি করা পেস্ট মুখে লাগান। প্রায় ৩০ মিনিট ফেসপ্যাক লাগানোর পর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনি সপ্তাহে দুবার পিগমেন্টেশন ত্বকে চন্দনের ফেসপ্যাক লাগাতে পারেন এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন।

b) 1/2 চামচ চন্দন গুঁড়ো, 1/2 চামচ নিম পাউডার, 1/4 চামচ হলুদ গুঁড়ো, গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর এটি 30 মিনিট রেখে গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। নিমে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল গুন থাকায় তা ত্বক থেকে পিম্পল ও তার দাগ দূর করে। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। 

আরও পড়ুনঃ লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

8. পিগমেন্টেশনের জন্য শসার ফেসপ্যাক

শসা ত্বকে তাত্ক্ষণিক উজ্জ্বলতা দিতে এবং ত্বকের রঙ উন্নত করতে পরিচিত। আপনার ত্বকে পিগমেন্টেশন দূর করতে ঘরে বসেই শসার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

ব্যবহারবিধি:

 a) 1 চা চামচ শসার রস, 1 চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করুন। পিগমেন্টেশনের চিকিৎসার জন্য আপনার ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এই মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন। মিশ্রণটি ত্বকে প্রায় 10 মিনিটের জন্য রেখে দিন, যাতে ত্বক এটি শুষে নিতে পারে। এরপর হালকা গরম জল  দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের পিগমেন্টেশন থেকে মুক্তি পেতে আপনি দিনে দুবার বা প্রতিদিন শসার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

b) প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করার পর টোনারের পরিবর্তে শসার রস ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বককে নিশ্ছিদ্র করে তোলে। 

আরও পড়ুনঃ ঠান্ডায় আপনার ঠোঁটকে সুন্দর ও সতেজ রাখতে মেনে চলুন এই 6 টি টিপস

9. পিগমেন্টেশনের জন্য বাদাম ফেস প্যাক

বাদাম ভিটামিন ই এর একটি দুর্দান্ত উৎস, যা ত্বকের ভিটামিন হিসাবেও পরিচিত। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের পিগমেন্টেশনের চিকিৎসায় সাহায্য করে এবং ত্বককে সুস্থ ও দাগমুক্ত করে। বাদামের সাহায্যে পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর করতে বাদামকে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন।

ব্যবহারবিধি:

পিগমেন্টেশন থেকে মুক্তি পেতে একটি বাদামের ফেসপ্যাক তৈরি করতে, 5-6টি বাদাম পিষে, 1 চা চামচ মধু, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং 1 চা চামচ দুধ (ঐচ্ছিক) যোগ করে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এবার এই মিশ্রণটি আপনার পিগমেন্টেশন ত্বকে লাগান। আপনি রাতে ঘুমানোর আগে এটি আপনার মুখে লাগান এবং সকালে ঠান্ডা জল দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন। দুই সপ্তাহ রাতে ঘুমানোর আগে এই পেস্টটি লাগান।  এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করে আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পিগমেন্টেশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ শীতের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন এই 9 টি জুস

10. পিগমেন্টেশনের জন্য বেসন ও টক দই ফেস প্যাক

দই একটি ভালো ক্লিনজার এবং ত্বকের ময়েশ্চারাইজিং এজেন্ট। দইতে পাওয়া ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষগুলিকে এক্সফোলিয়েট করতেও সাহায্য করে। মুখে বেসন, হলুদ, দই দিয়ে একটি ফেসপ্যাক লাগালে ত্বকের সাধারণ সমস্যা যেমন কালো দাগ, পিগমেন্টেশন এবং ব্রণ সারাতে সাহায্য করে।

ব্যবহারবিধি:

দুই চামচ বেসন এবং 1 বা 2 চামচ দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এর সাথে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়োও মেশাতে পারেন। পেস্ট পাতলা করতে, প্রয়োজন মত গোলাপ জল যোগ করুন। প্রস্তুত ফেসপ্যাকটি আপনার মুখে ভালো করে লাগিয়ে 10-15 মিনিট রেখে দিন। এরপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পিগমেন্টেশন থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে দুবার মুখে লাগাতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ শরীরের দুর্বলতা কাটানোর উপায়

আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা পিগমেন্টেশন দূর করার জন্যে কয়েকটি ঘরোয়া ফেসপ্যাক এর কথা বললাম। আশা করি, আপনি এগুলি ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাবেন। এই ধরণের আরও বিউটি সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। 

JOIN OUR TELEGRAM CHANNEL

আরও পড়ুনঃ

গাড়ির চাকার রঙ কালো হয় কেন জানেন?

Telegram থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

ঘরে অশান্তি দূর করার উপায়-ফেংশুই বাস্তু টিপস

দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি

Post a Comment

0 Comments