শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় | বডি ফিটনেস ঠিক রাখার উপায়

শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়

শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়

বর্তমান সময়ে পরিবেশ দূষণ, বিভিন্ন সামাজিক পরিস্থিতি, অপুষ্টিকর খাবার-দাবার, অসময়ের খাওয়ার -এর জন্যে শরীরকে সুস্থ রাখা, এবং তার থেকে বড়ো কথা প্রতিদিন বডি ফিট রাখা খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপরোক্ত বিভন্ন কারণের জন্যে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, যেমন- শরীরে চর্বি বেড়ে যাওয়া, পেটের সমস্যা, মাথা ঘোরা থেকে শুরু করে আরও অনেককিছু। অপুষ্টিকর এবং অসময়ে খাওয়ার জন্যে সবথেকে বেশি যে সমস্যা দেখা দেয় সেটি হল মোটা হয়ে যাওয়া, এবং বডি ফিট না থাকা। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জানাবো শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় সম্পর্কে। 

বডি ফিটনেস ঠিক রাখার উপায়

ওজন কমাতে কি করবেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আপনারা সাধারণভাবে গুগল কিংবা ইউটিউবে গিয়ে কোনো ভিডিও বা প্রতিবেদন পড়বেন, এবং সেই সমস্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে হয়তো একমাস বা ছয়মাসের মধ্যে ওজন কমিয়ে ফেলবেন। কিন্তু এরপর সবথেকে বড়ো কথা হল ওজন কমানোর পর প্রতিদিন, প্রতিসপ্তাহে বডি ফিট রাখা। তাই ওজন কমানোর পরও বডি ফিটনেস ধরে রাখতে অনেক চেষ্টা করতে হবে এবং খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে সামান্য ভুলও আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে এবং আপনার সমস্ত পরিশ্রম নষ্ট করে দিতে পারে। কমে যাওয়া ওজন ধরে রাখার কিছু উপায় যা আপনাকে স্লিম থাকতে সাহায্য করবে এবং আপনার বডি ফিটনেস ঠিক থাকবে।

1. প্রতিদিন ব্যায়াম করুন

প্রতিদিন ব্যায়াম আপনার ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ব্যায়ামের জন্য আধা বা এক ঘন্টা সময় নিতে ভুলবেন না। আপনি যদি সময় না পান, তাহলে যখনই সময় পাবেন তখনই 10-20 মিনিট সময় নিন এবং ব্যায়াম করুন। এছাড়া যতটা সম্ভব হাঁটার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।

2. শাকসবজি এবং ফল খান

আপনার খাবারে, বিশেষ করে সকালের নাস্তায় ফল এবং শাকসবজিকে অগ্রাধিকার দিন। ফলের স্যালাড, জুস, দই ইত্যাদি ব্যবহার করুন।  সবজি যোগ করে স্যান্ডউইচ, বিভিন্ন পুষ্টিকর তরকারি, সুপ্ -এর মতো জিনিস রান্না করুন। ভাত এর বদলে রুটি খাবার চেষ্টা করুন। বেশি কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও কর্নফ্লেক্স বা ওটস খাওয়ার সময় এতে কাটা ফল ব্যবহার করা ভালো। এইভাবে আপনি সহজেই আপনার খাদ্যতালিকায় ফলমূল ও শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

3. দিনে তিনবার খাওয়া

একবারে সব খাওয়ার চেয়ে আপনার খাদ্যকে ভাগ করে খাওয়াই ভালো। সকালের নাস্তা অবশ্যই করুন এবং দিনে অন্তত তিনবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। খিদে পেলে একদম পেট ভর্তি করে খাবেন না। রাস্তার খাবার বেশিরভাগ সময় এড়িয়ে চলুন, পুষ্টিকর কিছু খান। আপনি যদি চান, আপনি সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের মধ্যে প্রতি দুই ঘন্টা পরপর ছোটো ছোটো স্বাস্থ্যকর টিফিন খেতে পারেন। এক সময়ে খাবার এড়িয়ে যাওয়া আপনার ক্ষুধা বাড়ায় এবং আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য প্ররোচিত করে, তাই কিছু এড়িয়ে যাবেন না।

4. সময়মতো খাবার খান

চেষ্টা করুন যে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া এবং প্রতিটি খাবারের জন্য আপনার সময় নির্দিষ্ট। এছাড়াও ঘুমানোর সাত ঘণ্টা আগে খেয়ে নিন, এটা মাথায় রাখুন এবং নিয়ম করুন। যদি কোনো সময় খেতে দেরি হয়ে যায়, তাহলে সেই সময় হালকা কিছু খাওয়ার চেষ্টা করুন।

5. সক্রিয় থাকুন

যেকোনো কাজে সক্রিয় থাকুন, সক্রিয় হওয়ার কোনো সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। সক্রিয় থাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শরীরে ক্যালোরি পোড়াবে, যা আপনাকে স্লিম রাখতে সাহায্য করবে। এজন্য ঘুম থেকে উঠে ছোট্ট কাজগুলো অন্য কাউকে না দিয়ে নিজে করুন। বিশ্রামের পরিবর্তে, কাজ করার উপর বেশি মনোযোগ দিন বা চলতে থাকুন। শুধু শুধু ফোনে মাথা গুঁজে বসে থাকবেন না। 

6. স্বাস্থ্যকর খাবার আগে

যখনই আপনি খাবার খেতে বসবেন, স্বাস্থ্যকর জিনিস দিয়ে শুরু করুন, যেমন স্যালাড, দই, অঙ্কুরিত দানা। এরপর বাকি দিকে মনোযোগ দিন। এতে করে আপনার পেটের অর্ধেক স্বাস্থ্যকর জিনিসে ভরে যাবে এবং কম পরিমাণে ক্যালরি শরীরে পৌঁছাবে। বেশি হিজিবিজি খাবার খাবেন না। 

7. বাইরের খাবারে নিয়ন্ত্রণ

বাইরের খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি, যা আপনার ওজন খুব দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। তাই বাইরের খাবার উপেক্ষা করুন। সপ্তাহে একদিন বাইরে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হবে। এছাড়াও, আপনি কত ক্যালোরি গ্রহণ করতে যাচ্ছেন তা নির্ধারণ করুন, যাতে অতিরিক্ত ক্যালোরি এড়ানো যায়।

8. স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন

এটা অনেক সময় হয় যে আমরা যখন চাপে থাকি, তখন আমরা খুব কম খাই, অথবা আমরা বেশি খেতে শুরু করি এবং আমরা জানি না যে অতিরিক্ত ক্যালোরি আমাদের শরীরে যাচ্ছে। মানসিক চাপ এড়িয়ে চলাই ভালো। কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না, যদি কিছু চাপ থাকে তাহলে বন্ধু বা বাড়ির লোকের সাথে আলোচনা করে নিন।

9. উচ্চ ফাইবার দিয়ে শুরু করুন

বেশি আঁশযুক্ত খাবার দিয়ে দিন শুরু করার চেষ্টা করুন। এজন্য খাদ্যতালিকায় ওটমিল ও ফলমূল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করুন।

10. উষ্ণ জল

দিনের শুরুতে লেবু এবং মধু দিয়ে হালকা গরম জল পান করুন। এটি অতিরিক্ত চর্বিও দূর করবে এবং আপনাকে সতেজ রাখবে সারাদিন, পাশাপাশি প্রচুর শক্তির সাথে আপনার কাজে সক্রিয়ভাব নিয়ে আসবে।

Post a Comment

0 Comments