জানা অজানা তথ্য | জানুন 21টি চমৎকার অজানা তথ্য

জানা অজানা তথ্য

জানা অজানা তথ্য

অজানা কিছু তথ্য: প্রায়শই আমাদের মনে বিভিন্ন ধরণের অজানা তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন জাগে, কিন্তু আমরা যথাযত উত্তর পাইনা। এমনকি চোখের সামনে এমন অনেক ঘটনা দেখি যেগুলি আমাদের ভাবিয়ে তোলে। আচ্ছা বলুন দেখি, প্লেনের চাকা ফেটে যায়না কেন? প্লেনে প্যারাসুট থাকেনা কেন? ষাঁড়কে লাল কাপড় দেখালে রেগে যায় কেন? হাঁচি আটকে রাখলে কি হয়? বিস্কুটের ভিতর ছিদ্র থাকার কারণ কি? এরকম বহু ভাবনা বা প্রশ্ন আমাদের মনে আসে। তাই সেরকম 21টি অজানা তথ্য নিয়ে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা গুরুত্বপূর্ণ 21টি তথ্য জানবো। 

21টি চমৎকার অজানা তথ্য

আপনারা কি জানেন?

1. 1947 সাল থেকে 1948 সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে কোনো ট্যাঁকশাল অর্থাৎ টাকা চাপানোর জায়গা ছিলনা, তাই পাকিস্তানের সমস্ত টাকা ভারতে ছাপা হতো। এই টাকার উপরে ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশেরই নাম থাকতো।

2. রাশিয়া দেশটি এতটাই বড়, যে এর আয়তন সৌরজগতের গ্রহ প্লুটোর থেকেও বেশি।

3. পৃথিবীতে এমন একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে যে লাফাতে পারে না। সেই স্তন্যপায়ী প্রাণীটি হলো হাতি, হাতি একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যে ভালো সাঁতার কাটতে পারলেও লাফ দিতে পারে না।

4. জাপানে বিস্ফোরিত পারমাণবিক বোমার কথা আমরা সবাই জানি। এই বোমার তেজস্ক্রিয়তার ফলে চাষের জমি নষ্ট হয়ে যায় তবে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, যে সূর্যমুখী ফুল মাটি থেকে তেজস্ক্রিয়তা দূর করতে সাহায্য করে তাই এখনকার জমিকে চাষযোগ্য করার জন্য সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়।

5. আমাদের শরীরের সমস্ত রক্ত খেয়ে ফেলার জন্য 12 লক্ষ মশার প্রয়োজন, তাই কয়েকটা মশার কামড়ে বেশি রক্তক্ষয় হয় না।

6. কাঁকড়া বিছা নিঃশ্বাস না নিয়ে প্রায় ছয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে এবং এরা কিছু না খেয়ে প্রায় এক বছর থেকে যেতে পারে।

7. আমরা যে বিস্কুট খাই সেই বিস্কুটের মাঝখানে অনেক ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রগুলি থাকে কারণ বিস্কুট যখন তৈরি হয় তখন তার সব জায়গায় যাতে ভালো করে চাপ দেওয়া যায় ও হাওয়া পাশ হয় তার জন্য। এবং বিস্কুট গুলি যাতে সহজে ভেঙে না যায়।

8. আমাদের যে হাঁচি হয় তার গতিবেগ ঘন্টায় 160 কিলোমিটার, এত গতিবেগে থাকা হাঁচিকে যদি আটকাতে যান তাহলে আপনার স্নায়ু ছিড়ে যেতে পারে এবং আপনি অন্ধ হয়ে যেতে পারেন।

9. নীল তিমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী। একটি নীল তিমির ওজন প্রায় 1,70,000 কেজি পর্যন্ত হতে পারে, যা বাইশটি হাতির সমান। ভারী নীল তিমির হৃদপিণ্ড একটি maruti গাড়ির মত বড় আর এদের শিরায় একজন মানুষ খুব সহজে সাঁতার কাটতে পারে।

10. মৌমাছি এমন একটি প্রাণী যে খুব উচ্চতায় উড়তে পারে, বিজ্ঞানীরা বলেছেন মৌমাছি নিঃসন্দেহে মাউন্ট এভারেস্টের চেয়েও বেশি উচ্চতায় উড়তে পারে।

11. একটি শিশু যখন মায়ের গর্ভে থাকে তখন পাঁচ থেকে সাত মাস পর্যন্ত শিশুর শরীর একটি মেয়ের মতন থাকে।

12. আমাদের শরীরে সবচেয়ে বড় ও মোটা অংশ হল আমাদের চামড়া। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে চামড়ার ওজন প্রায় 10 কেজি।

13. মহাকাশে দুটি ধাতব বস্তু যদি পরস্পরকে স্পর্শ করে তাহলে সেটি পার্মানেন্টলি জোড়া লেগে যাবে। এই পদ্ধতিকে বলা হয় কোল্ড ওয়েল্ডিং।

14. আপনারা দেখেছেন ডাক্তাররা ইনজেকশন দেওয়ার আগে কিছু লিকুইড সিরিঞ্জ দিয়ে বের করে দেন, কারণটা হল সিরিঞ্জের ভিতরে থাকা হাওয়া যাতে আপনার শরীরের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে। যদি সেই হাওয়া আপনার শরীরে ঢুকে যায় তাহলে সেটি হৃদপিণ্ডে পৌঁছে যাবে এর ফলে আপনার হার্ট ফেল করবে এবং আপনি মারা যাবেন।

15. মঙ্গল গ্রহে কি আমরা বসবাস করতে পারবো? বিজ্ঞানীরা বলেছেন মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি গড়ে তোলার জন্য একসঙ্গে 110 জন মানুষকে সেখানে পাঠাতে হবে দিলেই বসতি গড়ে উঠবে। 110 জনের কম মানুষকে পাঠালে তা সম্ভব নয়।

16. 2009 সালে ব্রায়ান অ্যাক্টন নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে জব চাইতে গেছিল কিন্তু ফেসবুক তাকে জব দেয়নি। 2014 সালে ব্রায়ান অ্যাক্টন -এর বানানো whatsapp বহুমূল্যে কিনেছিল facebook।

17. ষাঁড়কে লাল কাপড় দেখালে রেগে যায় কেন? আমরা অনেকেই দেখেছি ষাঁড়কে লাল কাপড় দেখিয়ে রাগিয়ে তোলা হয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলেছেন ষাঁড় হল কালার ব্লাইন্ড এরা লাল এবং সবুজ রং দেখতেই পায় না, তাই ষাঁড়কে লাল কাপড়ের বদলে যদি অন্য কোনো কাপড় দেখানো হয় তাহলেও ষাঁড়ের একই রকম ব্যবহার হবে। আসলে ষাঁড় যেকোনো নড়তে চড়তে থাকা বস্তু দেখলেই রেগে যায় কিন্তু এর কারণ এখনো জানা যায়নি।

18. মনোবিজ্ঞানীরা বলেন আমরা যদি টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে যাই তাহলে আমাদের অবচেতন মন টিভির সমস্ত কথা শুনতে থাকে এবং সেগুলিকে স্টোর করে। এর ফলে মানুষের ঘুম অত্যন্ত বাজে হয় এই কারণে মনোবিজ্ঞানীরা বলেন টিভি চালিয়ে ঘুমানো ভালো নয়।

19. 1,73,000 কেজি ওজনের প্লেন যখন ল্যান্ড করে তখন তার টায়ার ফেটে যায় না কেন? প্লেনের টায়ারে সাধারণ গ্যাসের বদলে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয় এবং এটি সাধারণ চাকার থেকে অনেক বড় হয়। আর এই টায়ারে রাবারের পাশাপাশি স্টিল এবং নাইলন ব্যবহার করা হয়। এবং এই টায়ারের গ্রিপ এমনভাবে বানানো হয় যাতে ল্যান্ডিংয়ের সময় এর থেকে সাপোর্ট খুব সহজেই হাওয়া।

20. জানেন কী বিরিয়ানির হাঁড়িতে লাল কাপড় কেন দেওয়া থাকে? এই রহস্যের শিকড় জানতে বহু বছর পিছিয়ে যেতে হবে। কথিত আছে, সম্রাট হুমায়ুনের রান্নাঘরে দরবার প্রথা ছিল। এই প্রথা অনুসারে, খাদ্য সংরক্ষণের সমস্ত পাত্র লাল কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হত। হুমায়ুনের পর এই প্রথাকে এগিয়ে নিয়ে যায় মুঘলরা। লখনউয়ের নবাবরাও লাল কাপড়ে খাবারের পাত্র ঢেকে রাখার রীতি গ্রহণ করেছিলেন। সেই থেকে এই প্রথা চলে আসছে এবং এখন পর্যন্ত বিরিয়ানির রাঁধুনিরা বিরিয়ানির হাঁড়িতে শুধুমাত্র লাল কাপড় দিয়ে থাকে। তবে একাংশ মনে করেন, লাল রং মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এ কারণে হাঁড়িতে লাল কাপড় বেঁধে দেন দোকানিরা। যাতে গ্রাহকের চোখ সহজেই তাদের হাঁড়িতে পড়ে।

21. আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই বিমানে ভ্রমণ করেছেন। নিরাপত্তার কারণে প্রতিটি যাত্রীর আসনের নিচে কিছু ডিভাইস থাকে। কিন্তু বাণিজ্যিক বিমানে যাত্রীর আসনের নিচে প্যারাসুট থাকে না।

কিন্তু প্রশ্ন হল, যাত্রীদের যদি জরুরি অবস্থায় বিমান থেকে লাফ দিতে হয়, তাহলে তাদের জন্য প্যারাসুটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না কেন? তাই আমরা আপনাকে এখানে এর কারণ বলতে চলেছি। এটি না করার চারটি কারণ রয়েছে।

1. প্যারাসুট অনেক বড়, ভারী এবং ব্যয়বহুল। বড় হওয়ায় সিটের নিচে প্যারাসুট বসানো যায় না। এগুলো রাখতে অনেক জায়গা লাগে। এছাড়া এদের ওজনও অনেক বেশি, যার কারণে প্লেনের ওজন বেড়ে যায়। প্যারাসুটগুলির দৈনিক চেকিং এবং রিপ্যাকিংও প্রয়োজনীয়। যদি বাণিজ্যিক বিমানে সবাইকে প্যারাসুট সরবরাহ করা হয়, তবে এর যাত্রা অনেক ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।

2. এর দ্বিতীয় কারণ হল প্যারাসুট ব্যবহার করার বিষয়ে যাত্রীদের কোন জ্ঞান নেই। প্যারাসুট প্রশিক্ষণ ছাড়া, অনেক যাত্রী সঠিক সময়ে এর কর্ড টানতে সক্ষম হবে না এবং নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হবে না। মাটিতে নামার পরও প্যারাসুট সামলানো খুবই কঠিন। অনেকের সাধারণ পরিস্থিতিতে এটি পরিচালনা করা কঠিন বলে মনে হয়, তাই কল্পনা করুন যে বিমানে জরুরি অবস্থা হলে যাত্রীরা কীভাবে এটি ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।

3. বাণিজ্যিক বিমানে যাত্রীদের জন্য প্যারাসুট না থাকার তৃতীয় কারণ হল এই বিমানগুলি থেকে লাফ দেওয়ার জন্য কোনও সুবিধাজনক জায়গা নেই। লাফ দেওয়ার জায়গা দেওয়ার জন্য বিমানটিকে নতুনভাবে ডিজাইন করতে হবে। সাধারন বিমানে বাইরে বেরোনোর জন্য পাশে দরজা থাকে, এই দরজাগুলো থেকে লাফ দিলে প্লেনের ডানা বা লেজে আঘাত করবে। এজন্য বিমানের পেছনের কেবিনে র‌্যাম্প তৈরি করতে হবে।

4. এমন পরিস্থিতি খুব কমই থাকবে যেখানে একটি প্যারাসুট কারো জীবন বাঁচাতে পারে। এর জন্য দিনের সময় থাকতে হবে, প্লেনটি মাটির উপরে থাকতে হবে এবং সবার জন্য প্লেন থেকে লাফ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকতে হবে।

 JOIN OUR TELEGRAM CHANNEL

Post a Comment

0 Comments