চুল কেন পড়ে | চুল পড়া কমানোর সহজ সমাধান

চুল পড়া কমানোর সহজ সমাধান

চুল পড়া কমানোর সহজ উপায় 

আমাদের চুল পড়া আর নতুন চুল গজানোর হার সবসময়ই ব্যালেন্স মেনটেইন করে চলে। যদিও আজকাল অতিরিক্ত চুল পড়ার ঘটনা বেশ কমন। এটা বিভিন্ন কারণে হয় যেমন ইমোশনাল বা ফিজিকাল স্ট্রেস, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, মাথার ত্বকে ইনফেকশন, হরমনাল ইমব্যাল্যান্স ইত্যাদি। আপনাদের জন্য এখানে দেয়া হল পাঁচটি একদম সহজ যোগাসন যা শুধু আপনার চুলের সৌন্দর্যই বাড়াবে না, আপনাকে এর সাথে সাথে দেবে সুস্থ দেহ আর ফ্রেশ ফুরফুরে মন। আমরা জানি মাথার ত্বকে সঠিক রক্ত সঞ্চালন চুলের গোঁড়ায় পরিপূর্ণ পুষ্টি পৌঁছে দেবার জন্য অপরিহার্য। এখানে যে আসনগুলো দেখানো হলো সেগুলো আপনার উর্ধ্বাঙ্গে রক্ত সঞ্চালণ বাড়াতে সাহায্য করবে।  তো চলুন দেখে নিই যোগাসন কীভাবে আপনাকে এত এত সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে-

চুল কেন পড়ে?

ছেলেদের চুল পড়াটা অ্যান্ড্রোজেনেটিক বা বংশগত। অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে হেয়ার স্টাইল করা। চুলে জেল দেয়া, আয়রণ করা কারলিং, পারলিং। এসব করলে ছেলেদের চুল পড়ে যায়। পুষ্টি এটা বিরাট ফ্যাক্টর এ যুগের ছেলেদের জন্য। আগে ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সে চুল পড়া নিয়ে আসতো। কিন্তু এখন টিনেজ ছেলেরা চুল পড়া নিয়ে আসছে। এর মূল কারণ হচ্ছে তারা অনেক বেশি ফাস্টফুড খায়।

ফাস্টফুডে প্রচুর ফ্যাট আছে, সুগার আছে। তারা কায়িক পরিশ্রম একেবারেই করে না। এটা যে ওদেরই দোষ দেবো সেটা না। আসলে খেলা মাঠই সেভাবে নেই। এখনতো সবাই যান্ত্রিক হয়ে গেছে। আর শহরের যে সব সাপ্লাই পানি নদী থেকে তোলা হয়, সে পানিগুলোতে ক্লোরিন দেয়া থাকে। সেই ক্লোরিনযুক্ত পানিতে চুল পড়ে। 

বাসা চেঞ্জ করলে অনেকে কমপ্লেইন করে যে, বাসা চেঞ্জ করার পর চুল পড়া বেড়ে গেছে। আসলে কোনো বাড়ির ট্যাঙ্কিতে বেশি মাত্রায় ক্লোরিন বা ব্লিচিং পাউডার দেয়া থাকে তাহলে চুল পড়বে। মাথায় যদি কারও স্ক্রিন ডিজিজ হয়। বড়দের যেমন স্যভোরিক অ্যাক্সিমা, সুরায়াসিস এসব ডিজিজ হলে চুল পড়েযায়। 

আগে ধারণা করা হতো যে, অ্যান্ড্রোজেনেটিক কারণে মহিলাদের চুল পড়ে না। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে যে, প্রায় ৫০% মহিলার চুল পড়ে এ কারণে। 

ধুমপান বড় বড় রক্তনালীকে বন্ধ করে দেয়। আর চুলের গোড়ায় অতি সূক্ষ সূক্ষ রক্তনালী। ধুমপান করলে এই সূক্ষ রক্তনালীগুলো বন্ধ হয়ে যায়। চুলের পুষ্টি আসে রক্তের মাধ্যমে তাই রক্তনালী বন্ধ হয়ে গেলে চুল পড়ে যাবে।

গ্রামের মহিলারা সাধারণত পুষ্টির অভাবে ভুগেন। আর শহরের মেয়েরা ডায়েট কন্ট্রোলের চেষ্টা করেন। এগুলো চুল পড়ার অন্যতম কারণ। ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিংকস খাওয়াও অন্যতম কারণ চুলপড়ার। চুলের ম্যাক্সিমামটা হলো প্রোটিন। ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেড এবং পানি দিয়ে গঠিত। 

শ্যাম্পু ঘন ঘন করলে চুল পড়ে। এটা কতটা সত্যি? চুলটা প্রোটিন দিয়ে তৈরি। আর শ্যাম্পু অ্যালকালিক বা খার দিয়ে তৈরি। ক্ষার এবং প্রটিন একত্রিত হলে প্রটিন ভেঙে যায়। এতে চুল গোড়া থেকে ঠিক থাকবে কিন্তু সামনের অংশ ভেঙে ভেঙে পড়বে। প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে। 

চুলের বৃদ্ধিতে যোগ ব্যায়াম 

১) প্রথম আসন

আপনার নখগুলো পরস্পরের সাথে ঘষুন


এই যোগ যে কেউ খুবই কম কষ্টে করে ফেলতে পারবে। আপনার দুই হাতের আঙ্গুল গুলো ভাঁজ করে নখগুলো ছবির মতো মুখোমুখি আনুন। এবার আপনার একহাতের নখ অন্য হাতের নখের সাথে ঘষতে থাকুন। এভাবে পাঁচ থেকে দশ মিনিট ঘষুন এবং যখনই সময় পান তখনই এই আসনটি করুন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন আপনার বুড়ো আঙ্গুলের নখও ঘষবেন না যেন। কারণ যোগ শাস্ত্র বলে এতে করে নাকি ঠোঁটের উপরের লোমের বৃদ্ধি বেড়ে যায়। এই আসন আপনার নার্ভ স্টিমুলেট করে আপনার চুলের বৃদ্ধির হার বাড়াতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।

২) দ্বিতীয় আসন

বজ্রাসন

বজ্রাসন

সংস্কৃতে ‘বজ্র’ শব্দের অর্থ বজ্রপাত বা হীরা এবং ‘আসন’ শব্দের অর্থ বসা বা ভঙ্গি। এই আসনটি করার জন্য মেঝেতে বা ইয়োগা ম্যাটে উবু হয়ে ছবির মত করে বসুন। আপনার গোড়ালি আর পায়ের আঙ্গুল যেন একই সাথে সামান্তরাল থাকে আর মেঝে ছুঁয়ে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আপনার হাতের তালু আপনার ভাঁজ করা হাঁটুর উপরে রাখুন এবং শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। এবার আপনার চোখ বন্ধ করে রিলাক্স করুন। এই আসন আপনার শরীর সুস্থ রাখার সাথে সাথে আপনার মন মেজাজও ভালো ও ভারসাম্যপূর্ণ রাখে।

৩) তৃতীয় আসন

এই আসনের জন্য প্রথমে আপনার দুই পা টানটান করে মেঝেতে পিঠের উপরে শুয়ে পড়ুন। এবার শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে আপনার দুই হাত দিয়ে আপনার কোমরে 

এই আসনের জন্য প্রথমে আপনার দুই পা টানটান করে মেঝেতে পিঠের উপরে শুয়ে পড়ুন। এবার শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে আপনার দুই হাত দিয়ে আপনার কোমরে সাপোর্ট দিন। এবার ধীরে ধীরে আপনার দুই পা একত্রে মেঝে থেকে উপরে তোলার চেষ্টা করুন। প্রথম বারেই ছবির মতো পুরোটা তুলতে পারবেন না বা তোলার চেষ্টাও করবেন না। আহত হতে পারেন। যতটুকু করতে আপনি কমফোর্টেবল তততুকুই করুন। পাঁচ পর্যন্ত গুনুন এর পর আবার ধীরে ধীরে পা জোড়া নামিয়ে নিন। আবার রিপিট করুন। আসন শেষে শবাসনে বিশ্রাম নিন। এই আসন আপনার নিম্নাঙ্গ থেকে ঊর্ধ্বাঙ্গের দিকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।

৪) চতুর্থ আসন

উত্তানাসন

‘উট’ শব্দের অর্থ হচ্ছে গভীর, ‘টান’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘পেশি টান টান করা’ এবং ‘আসন’ শব্দের অর্থ ‘ভঙ্গী’। অর্থাৎ এই আসনের নামের অর্থ ‘তীব্র ভাবে সামনে ঝুঁকে পেশি টান টান করার ভঙ্গী’। আপনার দুটি পা পরস্পরের কাছাকাছি এনে সোজা হয়ে দাঁড়ান, যাতে করে দুই পা একে অপরকে হাঁটুতে, গোড়ালিতে আর পায়ের আঙ্গুলে স্পর্শ করে। এবার গভীর ভাবে শ্বাস নিয়ে দুই হাত সামনে সোজা করে ঊর্ধ্বাঙ্গকে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে নিন এবং হাতের আঙ্গুল দিয়ে মেঝে স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। যতক্ষণ পারেন স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসের সাথে এই আসন ধরে রাখুন। এই আসন প্রতিদিন প্র্যাকটিস করার মাধ্যমে আপনার মাথায় আর শরীরের ঊর্ধ্বাংশে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে মাথার ত্বক পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় ও এর সাথে সাথে চুল পড়া কমে যায়। বেশি ভালো হয় যদি মাথায় তেল ম্যাসাজ করার আগে এই আসন প্র্যাকটিস করেন তাহলে।

৫) পঞ্চম আসন

দুই পা টানটান করে মেঝেতে পিঠের উপরে শুয়ে পড়ুন। এবার আপনার দুই পা একসাথে মেঝে থেকে ৯০ডিগ্রিতে মেঝের সাথে রেখে হাঁটুর উপর ভর দিয়ে এবার হাতের তালু দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরে ভারসম্য বজায় রেখে আপনার ঊর্ধ্বাঙ্গ হাঁটুর কাছাকাছি নিয়ে যান, যাতে করে আপনার চিবুক আপনার বুক স্পর্শ করে। আপনার চোখ এই আসনে আপনার পায়ের আঙ্গুল দেখতে পাবে। আপনার শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। পাঁচ পর্যন্ত গুনে এই আসন থেকে সরে আসুন। এরপর আবার ধীরে ধীরে আগের মত পিঠের উপর শুয়ে পড়ুন। এভাবে আবার পুরো প্রক্রিয়া রিপিট করুন। আসন শেষে ‘শবাসনে’ বিশ্রাম নিন। এই আসনটি আপনার সারা দেহে রক্ত সঞ্চালণ বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে বিধায় আপনার মাথার ত্বক রক্তের মাধ্যমে অতিরিক্ত পুষ্টি পায় ও স্বাভাবিক ভাবে বাড়তে পারে। নিয়মিত প্র্যাকটিসে আপনার চুলের বৃদ্ধির হার বাড়বে।

ঘাড়ের ব্যায়াম-১

চুলের বৃদ্ধিতে যোগ ব্যায়াম (৫টি যোগব্যায়াম) নিয়মিত প্রাকটিসের পর এই ঘাড়ের ব্যায়ামগুলো আপনার যোগের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। প্রথমটি আমরা সবাই জানি। ধীরে ধীরে আপনার মাথা সামনে ঝুঁকিয়ে বুকের সাথে চিবুক লাগান আবার ধীরে ধীরে পেছনে নিয়ে গলা যত পারেন টানটান করুন।

ঘাড়ের ব্যায়াম-২

প্রথম ঘাড়ের ব্যায়াম এরপর ২য় ধাপে আপনার ঘাড় কাঁধের দিকে ঝুঁকান এবং ছবির মতো করে যেদিকে ঝুকাচ্ছেন সেদিকের হাত দিয়ে ঘাড় কাঁধের যত কাছাকাছি পারেন ধরে রাখুন। পাঁচ পর্যন্ত গুনে আসন ছেড়ে দিন এবং অন্য কাঁধে ঘাড় ঝুঁকান।

আপনি যদি চুলের বৃদ্ধিতে যোগ ব্যায়াম প্র্যাকটিস নিয়মিত করেন তবে আপনার মাথার ত্বক ভেতর থেকে পুষ্টি পাবে এবং আপনি পাবেন এক মাথা ঘন কালো চুল। তবে আর দেরি কেন? যারা চুল পড়া বা রুক্ষ, পুষ্টিহীন চুলের সমস্যায় ভুগছেন তারা আজ থেকেই রেগ্যুলার চুলের বৃদ্ধিতে যোগ ব্যায়াম করা শুরু করুন।

ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করুন 

চুল পড়ে যাচ্ছে অথবা মাথার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে এমন সমস্যা অনেকেরই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দুটি কাজ করতে হবে। একটি হলো চুল ঝরে যাওয়া রোধ করা, অপরটি নতুন চুল গজানো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন চুল গজানোর উপায়।

মূলত, আমাদের বয়স বাড়ার কারণে অথবা বংশগত বা পরিবেশের প্রভাবে চুল পড়ে যেতে থাকে। এ কারণে আমাদের মন তো খারাপ হয়ই, আবার মনে হয় যদি কৈশোরের মতো চুল আবার হতো কোনোভাবে। আমাদের মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পে যদি উদ্দীপনা দিতে পারি, তাহলে চুল গজানো সম্ভব। প্রতিটি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা রয়েছে। এটাকে যদি বাড়ানো যায়, তাহলেও নতুন চুল গজানো সম্ভব।

প্রথম উপায়

প্রথম উপায় হলো ম্যাসাজ করা। নিয়মিত চুল ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং স্ক্যাল্প উদ্দীপিত হবে। এক টেবিল চামচ ভিটামিন ই নিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে থাকুন। ভিটামিন ই চুলের জন্য প্রয়োজনীয় নিউট্রিশন এর যোগান দেয়। ভিটামিন ই এর সাথে চা এর নির্যাস যোগ করতে পারেন। এই দুটো ভালোভাবে মিশিয়ে হাতের তালু এবং আঙুলের সাহায্যে পুরো মাথার চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে নিন। ৫-৬ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন। চুলগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে সম্পূর্ণ চুল আঁচড়ে নিন।কিছুক্ষণ পর সাধারণভাবে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুল গজানোর জন্য দিনে ৩ বার ম্যাসাজ করতে হবে এই নিয়মে। কিন্তু বারবার শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। এতে চুলের ক্ষতি হবে।

 দ্বিতীয় উপায়

চুলের গোঁড়ায় হেয়ার ফলিকল থাকে। ভাইব্রেশনের মাধ্যমে যদি ফলিকল উদ্দীপিত করা যায় তবে নতুন চুল গজানো সম্ভব। বাজারে ভাইব্রেটিং ম্যাসেজার কিনতে পাওয়া যায়। এর সাহায্যে আপনি স্ক্যাল্পে চক্রাকারে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাথায় ভাইব্রেটিং ম্যাসাজ নিতে পারেন। যে জায়গায় বেশি চুল পড়ে যাচ্ছে, তাতে বেশি মনোযোগ দিন। এভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট আপনার স্ক্যাল্প ভাইব্রেট করুন। ভালো ফল পেতে এটাও আপনাকে দিনে ৩ বার করতে হবে।

তৃতীয় উপায়

এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যেটা আপনার স্ক্যাল্পের মৃত কোষগুলো ঝরে যেতে সাহায্য করবে। এই মৃত কোষগুলো স্ক্যাল্পের ফলিকল ব্লক করে রাখে, যে কারণে নতুন চুল গজানোর পথে বাঁধা দেয়। কেননা তখন স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। অল্প পরিমাণ শ্যাম্পু নিয়ে মাথায় ম্যাসাজ়ের মত করে লাগিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এটা দিনে একবার করতে হবে।

নতুন চুল গজানোর জন্য খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

ভিটামিন সি

পেয়ারা, লেবু, কমলা, আনারস, কামরাঙা, কাঁচা মরিচে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং গজানোর জন্য সহায়ক।

 প্রোটিন

পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। আমাদের চুল মূলত কেরাটিন দিয়ে গঠিত। এটি অ্যামিনো এসিড দিয়ে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন। তাই নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে। মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম—আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অন্তত একটি রাখার চেষ্টা করুন।

নতুন চুল গজানোর জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার মাছ, মাংস, পনির, সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন। তবে নন-ভেজিটেরিয়ান খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।

আয়রন আর জিঙ্ক

আয়রন আর জিঙ্ক আপনার মাথার কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে নিতে সহায়তা করবে আর নতুন টিস্যু তৈরিতে এবং ক্ষয়রোধে সহায়তা করবে। পরিমিত পরিমাণে আয়রন আর জিঙ্ক নতুন এবং দ্রুত চুল গজানোর জন্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান।

 কালোজিরা

কালোজিরা নতুন চুল গজানোর জন্যে সহায়ক। মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করা আর খাবারে কালোজিরা ব্যবহার খুব ভালো ফল দেয়।

কিছু সাধারণ যত্ন

১. নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা এবং আঁচড়ানো। কিন্তু অতিরিক্ত আঁচড়ানো চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়।

২. পেঁয়াজ এর রস চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাবে।

৩. মেহেদি পাতা কিছুদিন ঘন ঘন ব্যবহার করুন। পাতা বেটে লাগিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৪. শুকনা আমলকি পানিতে ভিজিয়ে লাগাতে পারেন।

৫. খাঁটি কালো জিরা তেল বা নির্যাস বেশি বেশি ব্যবহার করতে পারেন।

Kolkata Corner

Post a Comment

0 Comments