১০ টি কিশমিশে লুকিয়ে আছে যৌবনের রহস্য, প্রতিদিন খান এভাবে!
যখন স্বাস্থ্যের কথা আসে তখন সবাই সুস্থ থাকতে চায়। আপনার সুস্থ থাকার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল পাওয়া যায়। কিন্তু বাদামী রঙের কিশমিশ দেখতে ছোটো হলেও এর মধ্যে অনেক গুণ লুকিয়ে আছে। এটি খুব গরম বলে প্রায়শই লোকেরা এটি বেশি খায় না। তবে এর বিকল্পও রয়েছে। কিসমিস ভিজিয়ে খেলে অবশ্যই উপকার পাবেন।
আয়ুর্বেদ অনুসারে প্রতিদিন কিশমিশ না খেয়ে এর জল পান করলে আরও উপকার পাওয়া যায়। আসলে, কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকে এবং তা সারারাত ভিজিয়ে রাখলে চিনির পরিমাণ কমে যায় এবং পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়।
কিশমিশ আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। এছাড়া কিশমিশ ফাইবারেরও ভালো উৎস। খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আপনি যদি রাতে মাত্র ১০ টি কিশমিশ ভিজিয়ে রাখেন এবং প্রতিদিন সকালে খান তবে এটি আপনাকে অনেক রোগ এবং অসুস্থতা থেকে রক্ষা করবে। এর পাশাপাশি আপনার স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের জানাবো কিভাবে কিশমিশ খাওয়া উপকারী এবং এর উপকারিতা কি কি।
ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা
১) কিশমিশের ঔষধি গুণাবলী
২৫ গ্রাম কিশমিশে প্রায় ৭৮ গ্রাম ক্যালোরি এবং ০.৮৩ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এর পাশাপাশি এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক জলে ভিজিয়ে কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী।
২) দাঁত ও হাড়ের জন্য
দাঁত ও হাড় মজবুত রাখতে ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। এমন অবস্থায় দাঁত ও হাড়ের জন্যও কিশমিশ খাওয়া যেতে পারে। ১০০ গ্রাম কিশমিশের ভিতরে প্রায় ৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা আপনার দাঁত ও হাড়কে মজবুত করতে কাজ করে।
৩) হজমের উন্নতি ঘটায়
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির একটি ঘরোয়া প্রতিকার হল ভেজানো কিশমিশ খাওয়া। এছাড়া নিয়মিত কিশমিশ খেলে পরিপাকতন্ত্র সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪) তারুণ্য বজায় রাখতে
আপনি যদি চিরতরে তরুণ থাকতে চান, তাহলে কিশমিশ জল পান করা শুরু করুন। রাতে জলে কিশমিশ সিদ্ধ করে প্রতিদিন সকালে কিশমিশের জল পান করলে চিরতরে তরুণ থাকবেন।
৫) বলিরেখা দূর হবে
এটি আপনার ত্বকের বলিরেখাও দূর করে।
৬) বডি ডিটক্স করে
শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেতে হবে। কিশমিশের জল পান করলে তা শরীর পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।
৭) ঘুমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে
এটি কিশমিশের এমন একটি উপকারিতা, যা সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। যদি এমন কেউ থাকেন যার ঘুমের সমস্যা হয়, তাহলে ভেজানো কিশমিশ তার জন্য বরের চেয়ে কম কিছু নয়। কিশমিশের অভ্যন্তরে উপস্থিত উপাদানগুলি আপনাকে ভাল ঘুম দেওয়ার জন্যও উপকারী হতে পারে।
৮) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
রাতে কিসমিস ভিজিয়ে রেখে এর জল পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, যার কারণে আমাদের শরীর বাইরের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয় এবং এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করতে পারে না।
৯) অ্যানিমিয়া দূর করতে
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন কিশমিশ জলে ভিজিয়ে এর জল পান করলে শরীরে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
১০) ওজন কমাতে সহায়ক
চর্বিমুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত শুকনো খাবার হওয়ায় এর সেবন ওজন কমাতেও বেশ সহায়ক। এর পাশাপাশি এটি খেলে শরীরে ক্যালোরি বাড়ে না, যার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া কিসমিস সেবনে চিনির লোভের সমস্যাও দূর হয়।
১১) গলার সংক্রমণে সহায়ক
কিশমিশে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। এটি চিবিয়ে খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং গলার ইনফেকশনেও আরাম পাওয়া যায়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:- এই প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্যগুলি সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এগুলো বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি ভালো ও উপকারী মনে হলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। প্রতিদিন এরকম আরও নিত্যনতুন পোস্টের আপডেট পেতে যুক্ত থাকুন আমাদের সঙ্গে। জয়েন করুন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল।
0 Comments