শিবরাত্রি ২০২৩ সময়সূচি | শিবরাত্রি ব্রত পালনের নিয়ম

শিবরাত্রি ২০২৩ সময়সূচি

আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নিন শিবরাত্রি ২০২৩ -এর সময়সূচি, শিবরাত্রি ২০২৩ তারিখ, শিবরাত্রি পূজা পদ্ধতি এছাড়াও শিবরাত্রি উপবাসের নিয়ম ইত্যাদি। শিবরাত্রি ২০২৩ -এর সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য পেতে প্রতিবেদিনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন

শিবরাত্রি ২০২৩

২০২৩ সালের ১৮ ই ফেব্রুয়ারি (৫ ই  ফাল্গুন, ১৪২৯) শনিবার মহাশিবরাত্রির উপবাস পালিত হবে। এই দিনে কৈলাশপতির বিশেষ পূজা করা হয়। এই পুজোর সময় কিছু ভক্ত এমন ভুলও করে থাকে, যার কারণে ত্রিলোকনাথ তাড়াতাড়ি রেগে যেতে পারেন। 2023 সালের মহাশিবরাত্রির দিনে আপনি যদি আপনার উপর ভোলেনাথের বিশেষ কৃপা রাখতে চান, তাহলে এই দিনে এখানে উল্লেখিত কাজটি করতে ভুলবেন না, না হলে আপনাকে ভগবান শিবের শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে।

তিথি সময় দিন
শিবরাত্রি ২০২৩ সাল ১৮ ই ফেব্রুয়ারি (৫ ই ফাল্গুন, ১৪২৯) শনিবার

শিবরাত্রি ২০২৩ তারিখ

চতুর্দশী তিথির সময়সূচী 
  • তিথি শুরু ১৮ ই ফেব্রুয়ারি (৫ ই  ফাল্গুন, ১৪২৯) শনিবার রাত্রি ৮ টা  ২ মিনিটে। 
  • তিথি শেষ ১৯ শে ফেব্রুয়ারি (৬ ই  ফাল্গুন, ১৪২৯) রবিবার ৪ টা  ১৮ মিনিটে। 
শিবরাত্রি নিশিতাকাল পূজার সময়সূচী 
  • তিথি শুরু ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (৫ ই  ফাল্গুন, ১৪২৯)  রাত্রি ১১:২৫ (pm)
  • তিথি শেষ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (৬ ই  ফাল্গুন, ১৪২৯) রাত/ ভোর ১২:১৫ (am)
    প্রহর পূজা সময়কাল
    প্রথম প্রহর পূজা ১৮ ই ফেব্রুয়ারি (৫ ই ফাল্গুন, ১৪২৯) সন্ধ্যা ০৫:৩৫ মিনিট থেকে রাত্রি ০৮:৪২ মিনিট পর্যন্ত।
    দ্বিতীয় প্রহর পূজা ১৮ ই ফেব্রুয়ারি (৫ ই ফাল্গুন, ১৪২৯) রাত্রি ০৮:৪২ মিনিট থেকে ১১:৫০ মিনিট পর্যন্ত।
    তৃতীয় প্রহর পূজা ১৮ ই ফেব্রুয়ারি (৫ ই ফাল্গুন, ১৪২৯) রাত্রি ১১:৫০ মিনিট ১৯ ফেব্রুয়ারি (৬ ই ফাল্গুন, ১৪২৯) ভোর ০২:৫০ মিনিট পর্যন্ত।
    চতুর্থ প্রহর পূজা ১৯ ফেব্রুয়ারি (৬ ই ফাল্গুন, ১৪২৯) ভোর ০২:৫০ মিনিট থেকে ০৬:০৬ মিনিট পর্যন্ত।

শিবরাত্রি উপবাসের নিয়ম

শুধু মহিলারাই নন, এই ব্রত পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সকলেই পালন করে থাকেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে এই দিনেই শিব ও পার্বতী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাই ভক্তদের বিশ্বাস, এই পূণ্যতিথি পালন করলে সমস্ত পাপ থেকে নিষ্কৃতি মেলে। সংসারে শান্তি ফেরে এবং মোক্ষ লাভ হয়। আবার অনেকের বিশ্বাস, এদিন মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করলে শক্তি বাড়ে। নির্দিষ্ট কিছু আচার-রীতি মেনেই এই বিশেষ দিনে হর-পার্বতীর পুজো করতে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে মহা শিবরাত্রির ব্রত পালন করবেন।

পারনা শুরু পারনা শেষ
১৯ শে ফেব্রুয়ারি (৬ ই ফাল্গুন, ১৪২৯) রবিবার ভোর ৬ টা ৬ মিনিট থেকে দুপুর ২ টো ৪৩ মিনিট পর্যন্ত।

শাস্ত্র মতে, শিবরাত্রির দিন সকাল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত উপবাস করেই পুজো করতে হয় ভক্তকে। তবে যিনি উপবাস করছেন, তিনি দুধ-ফল ইত্যাদি খেতে পারেন। কিন্তু সেসব খেতে হবে সূর্যাস্তের আগে। যাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে এই ব্রত পালন করেন, তাঁরা সারারাত জেগে থাকেন। চোখের পাতা এক করেন না। বরং রাত জেগে ভক্তিগীতি গেয়ে থাকেন। পরের দিন পুজোর প্রসাদ খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করতে হয়। কথিত আছে, শিবরাত্রির দিন গঙ্গাস্নান করলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়।

এই দিন চার প্রহর ধরে মহাদেবের পুজো হয়। প্রথম প্রহরে জল দিয়ে, দ্বিতীয় প্রহরে দই দিয়ে, তৃতীয় প্রহরে ঘি এবং শেষ প্রহরে মধু দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে হয়। শিবের পুজোয় অপরাজিতা, ধুতরো, আকন্দ ফুল এবং বেল পাতা অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। পুজো শেষ হলে মহাদেবের ১০৮টি নাম যোগ করতে হয়। তবে বর্তমানে অনেকেই ব্যস্ততার জন্য এবং স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এভাবে ব্রতী পালন করতে পারেন না। প্রায় একটা গোটা দিন উপবাস করা এবং সারারাত জেগে থাকা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত উপবাস করলেও হয়। স্নান করে শুদ্ধ বসনে সন্ধেয় শিবলিঙ্গে জল ও বেল পাতা নিবেদন করে পুজো করতে হয়। তারপর পুজোর প্রসাদ গ্রহণ করলেই ব্রত পালন করা সম্পন্ন হয়। রাত না জাগলেও কোনও দোষ হয় না। পুরোটাই মনের ভক্তি, বিশ্বাস ও নিষ্ঠার ব্যাপার।

শিবরাত্রি পূজা পদ্ধতি

শিবরাত্রি পূজা উপকরণ 

শুদ্ধ মাটি বা গঙ্গা মাটি, বেলপাতা (৮/২৮/১০৮টি), গঙ্গাজল, ফুল, দুধ, দই, ঘী, মধু, চিনি, কলা, নৈবেদ্য, কর্পূর, শ্বেতচন্দন  অবশ্য প্রয়োজনীয়।

শুদ্ধাসনে পূর্ব দিকে মুখ করে বসতে হবে। তারপর দ্বীপ, ধূপ জ্বালান, পাথরের বাটি, মাটি বা কাঁসার পাত্রে শিবলিঙ্গটিকে রাখুন। মূল পূজার নিয়ম-কানুন ও  মন্ত্রগুলি নিম্নে ধাপে ধাপে দেওয়া হল-

শিবরাত্রি পালনের মন্ত্র 

আচমন

১) ডানহাতে প্রথমবার জল নিন এবং "ওঁ আত্মতত্ত্বায় স্বাহা" মন্ত্রটি উচ্চারণ করে হাতের জলটি পান করুন।

২) দ্বিতীয়বার জল নিন এবং "ওঁ বিদ্যাতত্ত্বায় স্বাহা" মন্ত্রটি উচ্চারণ করে হাতের জলটি পান করুন।

৩) তৃতীয়বার হাতে জল নিন এবং "ওঁ শিবতত্ত্বায় স্বাহা" মন্ত্রটি উচ্চারণ করে জলটি পান করুন এবং সবশেষে হাত ধুয়ে ফেলুন।

জলশুদ্ধি 

"শাঁং মন্ত্র" (শাঁং মন্ত্র বলে কিছুই হয়না শুধুমাত্র শাঁং শব্দটির উচ্চারণই হল শাঁং মন্ত্র) পাঠ বা উচ্চারণ করতে করতে যে পাত্রে জল রেখেছেন সেই পাত্রের উপর ডান হাতের মধ্যমা আঙ্গুল দিয়ে একটি ত্রিভুজ অঙ্কন করুন।

আসনশুদ্ধি 

অনুরূপভাবে "শাঁং মন্ত্র" উচ্চারণ করতে করতে আসনের তলায় ডান হাতের মধ্যমা আঙ্গুল দিয়ে ত্রিভুজ অংকন করুন এবং ফুল দিন।

পুষ্পশুদ্ধি

"শাঁং মন্ত্র" পাঠ করতে করতে ফুলের উপর গঙ্গাজল ও চন্দনের ছিটে দিন তিনবার।

করন্যাস

করন্যাস করার জন্য-

১) ডানহাতের পাঁচটি আঙ্গুলের অগ্রভাগ বা ডগাকে একত্রিত করে "শাঁং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ" মন্ত্রটি পাঠ করুন।

২) ডানহাতের বৃদ্ধা বা বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে ডানহাতের তর্জনীর অগ্রভাগ বা ডগাকে ধরে " শাঁং তর্জনীভ্যাং স্বাহা" মন্ত্রটি পাঠ করুন।

৩) ডানহাতের বৃদ্ধা বা বুড়ো আংগুল দিয়ে ডানহাতের মধ্যমার অগ্রভাগ ধরে "শাঁ মধ্যমাভ্যাং বষট্" মন্ত্রটি পাঠ করুন।

৪) অনুরূপভাবে ডানহাতের বৃদ্ধ বা বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে ডানহাতের অনামিকার অগ্রভাগ ধরে " শাঁ অনামিকাভ্যাং হুং" মন্ত্রটি পাঠ করুন।

৫) ডানহাতের বৃদ্ধা বা বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে ডানহাতের কনিষ্ঠার অগ্রভাগ ধরে "শাঁং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্" মন্ত্রটি পাঠ করুন।

৬) ডানহাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ডানহাতের মাঝখানে বা করতলে রেখে "শাং করতল পৃষ্ঠাভ্যাং আগ্রায় ফট্" মন্ত্রটি পাঠ করুন।

অঙ্গন্যাস

অঙ্গন্যাসের প্রত্যেকটি মন্ত্রের কার্য ডানহাত দিয়ে সম্পূর্ণ করতে হবে-

১) ডানহাত দিয়ে বক্ষ বা বুকের মাঝখানে স্পর্শ করে "শাঁং হৃদয়ায় নমঃ" মন্ত্রটি জপ করুন।

২) কপালে স্পর্শ করে "শাঁং শিরসি স্বাহা" মন্ত্রটি জপ করুন।

৩) তালু বা মাথার মাঝখানে স্পর্শ করে "শাঁং শিখায়ৈ বৌষট্" মন্তব্য করুন।

৪) ডানহাত দিয়ে দুই নেত্রীর স্পর্শ করে "শাঁং নেত্রত্রয়ায় বৌষট্" মন্ত্রটি জপ করুন।

৫) ডানহাত দিয়ে বাম বাহু, ও বামহাত দিয়ে ডান বাহু স্পর্শ করে "শাঁং কবচায় হুং" মন্ত্রটি জপ করুন।

৬) এরপর বামহাতের করতলে বা মাঝখানে ডানহাতের 'তর্জনী ও মধ্যমা' আঙ্গুল দিয়ে "শাঁং করতল পৃষ্ঠাভ্যাং অস্থায় ফট্" বন্ধু নিজন করুন।

শিবলিঙ্গ স্নান

শিবলিঙ্গকে স্নান করানোর জন্য নিম্নোক্ত মন্ত্রগুলি পাঠ করুন- 

১) দুধ দিয়ে স্নান করানোর সময় "ওঁ হৌঁ ঈশানায় নমঃ"।

২) দই দিয়ে স্নান করানোর সময় "ওঁ হৌঁ অঘোরায় নমঃ"।

৩) ঘি দিয়ে স্নান করানোর সময় "ওঁ হৌঁ বামদেবায় নমঃ" ।

৪) মধু দিয়ে স্নান করানোর সময় "ওঁ হৌঁ সদ্যোজাতায় নমঃ"।

৫) চিনি দিয়ে স্নান করানোর সময় "ওঁ হৌঁ তৎপুরুষায়েতি নমঃ"।

৬) এরপর শিবলিঙ্গকে শুদ্ধজল বা গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করান।

এরপর মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র ১০৮ বার না পারলে ২৮ বার পাঠ করুন। মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রটি হল- "ওঁ ত্র্যাম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্দ্ধনং, উর্বারুকমিব বদ্ধানং মৃত্যোর্মুক্ষীয় মামৃতাৎ"।

শিবরাত্রি পূজা পদ্ধতি

শিবলিঙ্গের প্রাণ প্রতিষ্ঠা মন্ত্র

শিবলিঙ্গের প্রতিষ্ঠা করার জন্য ডানহাত দিয়ে শিবলিঙ্গটিকে স্পর্শ করুন এবং "ওঁ হৌঁ অঘোরে ওঁ হৌঁ ঘোরে, ওঁ হুং ঘোরতরে ওঁ হ্রৈঁ হ্রীঁ শ্রীঁ ঐঁ, সর্বেত সর্বেভ্যো নমহস্ত রুদ্র রুপিপে হ্রঁ হ্রঁ নমঃ" মন্ত্রটি পাঠ করুন। (এখানে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে যে, যাদের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গ রয়েছে কিংবা আগে থেকে শিবলিঙ্গে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা আছে সে ক্ষেত্রে এই মন্ত্র পাঠ করা হবে না।)

শেষের পর্যায়ে মহাদেবের উদ্দেশ্যে পুজোর উপকরণ, চন্দন, ফুল, নৈবেদ্য প্রধান করে ধূপ, দ্বীপ  দ্বারা আরতি করুন।

৮/ ২৮/ ১০৮ টির মধ্যে যে কটি বেলপাতা সংগ্রহ করেছেন সেগুলির প্রতিটিতে চন্দনের ফোঁটা লাগিয়ে পাতার অগ্রভাগ একটু করে ছিঁড়ে শিবলিঙ্গের অর্ধেক প্রদক্ষিণ করে শিব লিঙ্গের মাথায় প্রদান করুন, এবং প্রদানের সময় "ওঁ পূর্ণ বৃক্ষা মহাভাগং সদাত্বং মহেশ প্রিয়, মহেশং পূজা নিমিত্ত বরদা ভব শোভনে"।

এরপর ১০ বার শিবগায়ত্রী মন্ত্রটি জপ করুন- "তৎপুরুষায় বিদ্মহে বেদমহী মহাদেবায় ধীয়োমহো তন্নো রুদ্র প্রচোদয়াৎ"।

১০৮ বার "ওঁ নমঃ শিবায়" মন্ত্রটি পাঠ করুন।

পরিশেষে বিসর্জন মন্ত্র পাঠ করুন- "আবহনাং নজনামি নৈব জনামি পূজনং বিসর্জনং ন জনামি ক্ষমস্ব্য পরমেশ্বর"।

বিশেষ টিপস 

  • মহাশিবরাত্রির দিন শিবলিঙ্গে দেওয়া নৈবেদ্য কখনই গ্রহণ করা উচিত নয়। এতে করে আপনার মুখ দিয়ে খারাপ ভাগ্য আপনার ভিতরে প্রবেশ করতে পারে।
  • শাস্ত্র অনুসারে, শিবলিঙ্গে কখনও তুলসী নিবেদন করা উচিত নয়। ভগবান শিবকে দেওয়া পঞ্চামৃতেও তুলসী ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • মহাশিবরাত্রির দিন কখনই শিবলিঙ্গে চম্পা ফুল নিবেদন করা উচিত নয়। পরিবর্তে, আপনার ভগবান শিবকে ধুতরা ফুল, বেল পাতা এবং গাঁজা অর্পণ করা উচিত।
  • মহাশিবরাত্রির দিন শিবলিঙ্গে হলুদের জলাভিষেক করবেন না। এই দিনে চন্দনের তিলক লাগিয়ে শিবলিঙ্গের পূজা করুন।
  • মহাশিবরাত্রির উপবাস যারা পালন করেন তাদের সেই দিন চাল, ডাল বা গমের তৈরি জিনিস খাওয়া উচিত নয়। এই দিনে আপনি ফল, দুধ বা চা খেতে পারেন।
  • মহাশিবরাত্রির উপবাস পালনকারীরা এই দিনে কি সামান্য খাবার তৈরি করার সময় তেলের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করবেন।

FAQ

1. শিবরাত্রি পূজা কবে 2023?

শিবরাত্রি ২০২৩ সাল ১৮ ই ফেব্রুয়ারি (৫ ই ফাল্গুন, ১৪২৯)শনিবার

2. শিব চতুর্দশী 2023 কবে?

শিবরাত্রি ২০২৩ সাল ১৮ ই ফেব্রুয়ারি (৫ ই ফাল্গুন, ১৪২৯)শনিবার

3. শিবরাত্রি ২০২৩ কবে?

শিবরাত্রি ২০২৩ সাল ১৮ ই ফেব্রুয়ারি (৫ ই ফাল্গুন, ১৪২৯)শনিবার

4. শিব চতুর্দশী 2023 কবে?

শিবরাত্রি ২০২৩ সাল ১৮ ই ফেব্রুয়ারি (৫ ই ফাল্গুন, ১৪২৯)শনিবার

5. মক্কায় শিব বন্দি কেন?

এই প্রশ্ন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

6. শিবের জটা কে কি বলে?

দেবতা শিবকে জটাধারা বলা হয়, যার মানে যার মাথায় ম্যাট করা চুলের স্তূপ রয়েছে।

7. শিব কার ধ্যান করেন?

দেবাদিদেব মহাদেব শ্রী নারায়নের ধ্যান করেন।

8.শিবের অবতার কি কি?

দেবাদিদেব ভগবান শিব তথা মহাদেবের 19 টি অবতার রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হনুমান অবতার, নামদেব অবতার, দুর্বাসা অবতার, ঈশান অবতার, তৎপুরুষ অবতার, অঘোর অবতার, অশ্বত্থামা অবতার, নন্দী অবতার, বীরভদ্র অবতার, কালভৈরব অবতার, গৃহপতি অবতার, পিপ্পলাদ অবতার, শরভ অবতার, জ্যোতিনাথ অবতার, সুরেশ্বর অবতার, যক্ষেশ্বর বা যক্ষ অবতার, বৃষভ বা রিষভ অবতার, কিরাত অবতার, অবধূত বা অদ্ভুত অবতার। লোকবিশ্বাস অনুসারে, হিন্দুধর্মের অন্যান্য দেবদেবীদের মতো ভগবান শিবেরও একাধিক অবতার বিদ্যমান। হিন্দু পুরাণ শাস্ত্রে শিবের অবতারের উল্লেখ রয়েছে।

9. শিবের গলায় সাপের নাম কি?

শিবের গলায় থাকা সাপের নাম- বাসুকী নাগ

10. শিবলিঙ্গের মুখ কোন দিকে থাকে?

শাস্ত্রমতে, শিবের মূর্তি সবসময় ঘরের উত্তর-পূর্বদিরে মুখ করে রাখতে হয়। তাতে পরিবারের উপর মহাদেবের কৃপা বর্ষিত হয়। খারাপ সময়গুলিতে ভয়াবহ কোনও আকার ধারণ করে না। আর্থিক, স্বাস্থ্যের উন্নতি হওয়ার সুযোগ থাকে। তবে শিব ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি কখনও মাটিতে স্থাপন করে পুজো করবেন না। তবে যেখানে রাখবেন, সেই জায়গাটি ভাল করে পরিস্কার করে, সাদা কাপড়ের উপর রেখে পুজো করুন।

11. শিবরাত্রির সলতে বাগধারাটির অর্থ কি?

বাগধারাটির অর্থ 'একমাত্র সন্তান'।

12. শিব রাতে মেয়েরা কি করে?

আগের দিন থেকে উপোস করে প্রতিটি প্রহরে শিবের পুজো করে।

13. শিব শব্দের অর্থ কি?

শিব শব্দের অর্থ "মঙ্গলময়"।

14. শিব কে?

জড় জগতের তিনটি অবস্থা সৃষ্টি, স্থিতি এবং প্রলয়। ব্রহ্মা হলেন সৃষ্টিকর্তা, বিষ্ণু হলেন পালনকর্তা, আর শম্ভু বা দেবাদিদেব মহাদেব হলেন সংহার কর্তা। সমগ্র জড় জগৎ জড় প্রকৃতির তিনটি গুণের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সত্ত্ব গুণের অধীশ্বর হলেন বিষ্ণু। রজ গুণের অধীশ্বর হলেন ব্রহ্মা এবং তম গুণের অধীশ্বর হলেন শিব বা শম্ভু।

15. শিব চতুর্দশী কেন পালন করা হয়?

  • শিবরাত্রির দিনে শিব পার্বতীকে বিয়ে করেছিলেন।
  • প্রত্যেক বছর ফাল্গুনমাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে শিবরাত্রি উদযাপন করা হয়।
  • বিশ্বাস করা হয়, শিবরাত্রির রাতই মহাদেবের প্রিয় রাত।
  • শিবরাত্রির দিনেই মহাদেব তাণ্ডব নৃত্য করেছিলেন। আর তারপর থেকেই এই নৃত্য পৃথিবী বিখ্যাত হয়ে যায়।
  • অবিবাহিত মেয়েদের জন্য এটাই সবচেয়ে পূণ্যের রাত। যাঁরা ভগবান শিবের মতো স্বামী চান, তাঁরা এই দিন ব্রত করেন।
  • শিবরাত্রির দিনের এই ব্রত শুধু অবিবাহিত মেয়েরাই নন, বিবাহিত মেয়েরা এমনকি ছেলেরাও এই ব্রত করতে পারেন।
  • শুধু মহাদেবের মতো স্বামী চেয়ে বরই নয়, সাফল্য এবং সমৃদ্ধি চেয়েও এই ব্রত করা যায়।
  • শিবরাত্রির ব্রত করলে অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • নিশীথ কলা বা যে সময়ে মহাদেব শিব লিঙ্গের রূপ ধারণ করেছিলেন, সেই সময়ই শিবরাত্রি ব্রত উদযাপনের উপযুক্ত সময়।
  • সমুদ্র মন্থনে বিষ পাণ করেছিলেন মহাদেব। বিশ্বাস করা হয়, এই কারণেই সারারাত জেগে শিবরাত্রি ব্রত পালন করা হয়।
  • শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শিবরাত্রি পালন করা হয়।
  • পূরাণে উল্লেখ করা রয়েছে যে ঠিক কোন কোন উপাদান ব্যবহার করা হয় শিবরাত্রিতে।
  • শিবরাত্রিতে ব্যবহৃত উপাদানগুলির প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা উপকারীতা রয়েছে।
  • মহাশিবরাত্রির ব্রত করলে রজঃ গুণ এবং তমোঃ গুণগুলির সংযম শক্তি বাড়ে।
  • মহাদেবের ভক্তরা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে শিব মন্ত্র 'ওম নমঃ শিবায়' স্তব করে থাকেন।
    JOIN OUR TELEGRAM CHANNEL CLICK HERE

Post a Comment

0 Comments